মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মহোদয়,

যথাযোগ্য মর্যাদা ও সন্মান পুরঃসর বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর ব্যক্তিগত সচিব থাকাকালীণ ২০০২ সালে জামাত বি এন পি জোট সরকারের অবৈধ আস্তানা "হাওয়া ভবনের" ভূয়া মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই এবং মালদ্বীপে এসে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শূরু করি।

আমার চির স্বভাবজনিত দুর্বিনীত প্রতিবাদী মানসিকতার কথা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের বহু নেতা/মন্ত্রীগণ অবহিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর গানের মুক্তি নামেই সর্বজনবিদিত।

আওয়ামী রক্ত তাই প্রবাসে এসেও নীরব থাকতে পারিনি; যে দেশে প্রবাসীদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সে দেশে আমি মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।

মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ( সাবেক হাই কমিশন) এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হিসেবে বহু লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।

Image may contain: 1 personএমন কি এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ডঃ দীপুমনিও অবহিত আছেন।

মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানেই বহু মন্ত্রী ও মান্যবর সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল সাহেবও যোগদান করেছিলেন । ভিডিও ও ছবি প্রমানবহন করে (ছবি সংযুক্ত )


মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ইস্কান্দার স্কুলে জাতীয় শোক দিবস পালনের আয়োজন করেছিলাম । সে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি হেড অফ দি চ্যাঞ্চেরী হারুন অর রশিদ।


আমি মালদ্বীপের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়ামীন মাওমুনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সামনেই ছিলাম।


হঠাত একটি ফোন এলোঃ

*******************

ঃহ্যালো আমি হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী হারুন অর রশিদ বলছি;

ঃকে মুক্তি সাহেব বলছেন?

ঃজ্বি

ঃশুনেছি আপনি ১৫ই আগষ্ট পালন করছেন আপনার ইস্কান্দার স্কুলে?

ঃজ্বি আমার সব অনুষ্ঠান তো ইস্কান্দার স্কুলেই হয়ে থাকে।

ঃআপনি এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন না; ঐ দিন হাই কমিশন থেকে অনুষ্ঠান করা হবে সূতরাং আপনার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে;

ঃআমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না; আমি প্রেসিডেন্টের সামনে কাজেই পড়ে কথা বলছি;

ঃআপনি বুঝতে পারছেন তো যে হাই কমিশন আপনাকে কল করেছে?

******************

মালদ্বীপের রাজধানী মালে ইস্কান্দার স্কুলে আমি মুক্তি যে হলটিতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যান ও জনশক্তিমন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি, সে হলেই আয়োজন করেছিলাম জাতীয় শোক দিবস ২০১৪।


সে অনুষ্ঠানের অপরাধেই আমার মালদ্বীপের সোনালী দিনগুলো ১৫ই আগস্টের চেয়েও ভয়াবহ করে তুলেছিল এই হারুন অর রশিদ, হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী এবং সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল।

********

মালদ্বীপে আমার হাতে গড়া আওয়ামী লীগের ছেলেদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দেয়া হল। তারপরেও হারুন অর রশিদ সাহেবের খায়েশ মিটেনি। সে মালে অবস্থানরত তার পোষা দালাল আদম ব্যবসায়ী, গাঞ্জা ব্যবসায়ী, ডলার ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ নিয়ে চলে এবং সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট করে বেড়ায়। এখানে অতিরঞ্জিত কিছুই লিখছি না। প্রমান সহই দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছি আমি তদন্ত চাই। অতি সম্প্রতি সে ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। আমাকে টেলিফোনে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।


মালদ্বীপ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়ে গেল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে একজন ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ সরকারের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিক্ষক (আমি নিজে ), একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মালদ্বীপে কর্মরত ৩৩ বছরের সিনিয়র ফিজিক্সের শিক্ষক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মীর সাইফুল ইসলাম এবং আর একজন ২৫ বছর যাবত মালদ্বীপে শিক্ষকতায়রত গজল সঙ্গীত শিল্পী মালদ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম।


এই তিন জন শিক্ষকের কাউকেই মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপস্থ দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেন নি। বিষয়টি মালদ্বীপের মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট হাউসের কর্মকর্তাদেরও নজরে এসেছে। এ দেশে বাংলাদেশী এই তিনজন শিক্ষকই অত্যন্ত দক্ষতার কারনে এবং বিশেষ করে শফিক ও আমি গানের কারনে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কোন মন্ত্রী, ধনিক ব্যবসায়ী, বর্ণাঢ্য বণিক শিল্পী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউ নেই যে আমাদের এই তিনজনকে না চিনেন বা না জানেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ না করার হেতু একটাই হতে পারে যে দেশ আজো স্বাধীন হয়নি অথবা এই দূতাবাস পাকিস্তানের অথবা এই দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই।


মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন আমাদের দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেনি? আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবহিত করলাম।

আমরা জাতীয় সম্পদ। আমাদেরকে জাতীয়ভাবেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। কারন জানতে চাই।


মহানুভব, পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত আপনার সমগ্র জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা আজ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক জটিলতা সমস্যাদি সমাধান ও বিদেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আপনার সততা শ্রম ও সফলতার সূত্র ধরেই আজ সুবিচারের প্রত্যাশায় আপনাকে অবহিত করলাম। যদি বাংলাদেশ সরকার মনে করে আমি বাঙ্গালী নই, বাংলাদেশী নই-আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্ধ করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্ত এ অপমানের বোঝা নিয়ে বাঙ্গালী হিসেবে আর মালদ্বীপে পরিচয় দিতে চাইনা। প্রয়োজনে পাসপোর্ট পুড়িয়ে শরণার্থী হয়ে যাবো যেমনটি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়ে।

ভালো থাকুক দেশের মানুষ ভালো থাকুক শেখ মুজিবের নিরস্পেষিত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত চির দুখি চির সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতি।

আল্লাহ আপনার ভালো করুন;

দেশ আরো এগিয়ে যাক, আরো উন্নয়ন ঘটূক, উত্তরোত্তর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ খ্যাত স্বীকৃতিকে ডিঙ্গিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক;


জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

আপনার একান্ত ভক্ত অনুরাগী

মোকতেল হোসেন মুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কন্ঠশিল্পী

সিনিয়র সঙ্গীত শিক্ষক

ইস্কান্দার স্কুল মালে, মালদ্বীপ

Tuesday, July 12, 2011

**মাত্র কয়েক মিনিটেই উদ্বেলিত করলেন সবাইকে। বক্তব্যও মাত্র তিন কি চার মিনিট ,প্রমাণ করলেন জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি তিনিই

**মাত্র কয়েক মিনিটেই উদ্বেলিত করলেন সবাইকে বক্তব্যও মাত্র তিন কি চার মিনিট ,প্রমাণ করলেন জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি তিনিই। 
by Mh Roony 
**মাত্র কয়েক মিনিটেই উদ্বেলিত করলেন সবাইকে। বক্তব্যও রাখলেন পাশ্চাত্যের নেতাদের মতোই, মাত্র তিন কি চার মিনিট। কিন্তু স্বল্পসময়েই চেনালেন নিজের জাত। প্রমাণ করলেন জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি তিনিই।**

আসলেন, বসলেন এবং জয় করলেন সবার মন। হোক না তাঁর পেশা তথ্যপ্রযুক্তির। কিন্তু ধমনীতে যে বইছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের রক্ত। কারণেই অর্ধশত বছরেরও পুরনো ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের ২৭তম সম্মেলন শুনে গণভবনে নিশ্চুপ বসে থাকতে পারেননি তারম্নণ্যের প্রতীকে পরিণত হয়ে ওঠা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়
সকলকে অবাক করে রবিবার দুপুরে আকস্মিককভাবেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন তিনি। মাত্র কয়েক মিনিটেই উদ্বেলিত করলেন সবাইকে। বক্তব্যও রাখলেন পাশ্চাত্যের নেতাদের মতোই, মাত্র তিন কি চার মিনিট। কিন্তু স্বল্পসময়েই চেনালেন নিজের জাত। প্রমাণ করলেন জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি তিনিই। কয়েক বাক্যেই যা বলার বললেন সব। তাতে যেমন ছিল দিকনির্দেশনা, তেমনি ছিল দেশ জাতির জন্য কিছু করার বলিষ্ঠ শপথ। এতে জয় করলেন সবার মন
আগে কয়েকটি সভা-সমাবেশ, কর্মিসভা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দিলেও সহযোগী কিংবা কোন ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতি বক্তব্য রাখার ঘটনা এই প্রথম। কিন্তু কর্মসূচীর নির্ধারিত বক্তার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। সকাল সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। চলছিল ধারাবাহিক বক্তৃতার পালা
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে সর্বশেষ বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের। তখন বেলা পৌনে বারোটা হবে। আকস্মিক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত তারম্নণ্যের ঢেউ থেকে শুরম্ন হলো গগনবিদারী সেস্নস্নাগান।সজীব জয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতমসেস্নস্নাগানে মুখরিত হয়ে উঠল বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের পুরো এলাকা
হাজার হাজার ছাত্রলীগ নেতাকমর্ীর তুমুল করতালি সেস্নাগানের মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আসত্মে আসত্মে সম্মেলনের মূল মঞ্চে উঠলেন নীল শার্ট পরা সুদর্শন সজীব ওয়াজেদ জয়। একটি চেয়ার এনে তাঁকে বসতে দেয়া হলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পাশে
শুধু উপস্থিত হলেন না, মাত্র / মিনিট বক্তব্য দিয়ে সবার মন জয় করলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বক্তৃতার শুরম্নতেই ছাত্রলীগের সম্মেলনের সফলতা এবং সারাদেশ থেকে আগত নেতাকমর্ীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে ছাত্রলীগের বিশাল ভূমিকার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয় বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে আমি আনন্দিত। ডেলিগেটর কাউন্সিলরদের শুভেচ্ছা জানাতেই সম্মেলনে এসেছি
ছাত্রলীগের ২৭তম জাতীয় সম্মেলনের সফলতা কামনা করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ৰমতায় এসেছে। আমাদের সুযোগ এসেছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। তিনি বলেন, ছাত্রলীগই আগামী দিনের ভবিষ্যত। ছাত্রলীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি

No comments:

Post a Comment